ফজর আর করব না কাজা
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল হাসান
বিষয় : সালাত/নামায, ইবাদত ও আমল
অনুবাদ– আবু মুসআব ওসমান
পৃষ্ঠা সংখ্যা- ১৯২
সুন্দর পৃথিবীর জন্য পরিবর্তন প্রয়োজন।
কর্ম এবং বিশ্বাস, চিন্তাভাবনা এবং চিন্তাধারার পরিবর্তন।
ইসলামী সমাজ এবং মুসলিম উম্মাহর জীবন ও জীবন পদ্ধতি। প্রত্যাশিত পরিবর্তনগুলি ‘ফজর-প্রজন্ম’ ও ‘প্রভাতী কাফেলা’র! এর জন্য আহ্বান জানায়!, ফজর স্রষ্টা-নির্ধারিত পরিবর্তন-ক্ষণ।
ফজরকালেই ঘটেছে যুগে যুগে আসমানী পরিবর্তন। প্রভাতী কাফেলাই প্রতিটি বদলে দেওয়ার দাস্তান সংকলন করেছেন।পরকালের শেষ সংগঠনে অংশ নেয় ভোর ও ফজর- প্রজন্ম!
প্রতিটি মুসলমান পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করছে। দাজ্জালের ক্ষমতার ক্ষেত্রে দাজ্জাল এবং ঈসা মাসীহের আগমন,বিজয়ের সোনালী মুহূর্ত, গৌরবের সূচনা,এমনকি ফজরের প্রজন্মও!
এটা সকালে এবং ভোরে সঞ্চালিত হয়!
ফজরের নামাজ হলো মুমিনের ঈমানের পরীক্ষা। বিজয়ী প্রজন্মের কাছে রাব্বী করিমের অমূল্য উপহার।
সকাল-সকালের দুআয় লেখা হয় ভবিষ্যতের বিজয়ের বার্তা। সকালের নামাজে আরাম করে বিজয়ের স্বপ্ন দেখা! ধূসর মরীচিকা!
আসুন একটি সুন্দর পৃথিবীর জন্য নিজেকে উৎসর্গ করি।পরের জীবনে কখনো ফজরের নামাজ পড়ব না।
ফজর জানতে এবং ফজরের সালাতের প্রকৃত স্বরূপ উপলব্ধি করার জন্য মাকতাবাতুল হাসানের অনন্য উপহার- আমি কি আর ফজর না আদায় করব?
প্রথমেই বলি অর্পণের কথা। অর্পণটি সরাসরি বই থেকে তুলে ধরা হলো। যা বিশেষ করে আমাকে মুগ্ধ করেছে। আপনাদেরকেও বিমোহিত করবে। “সেই প্রভাতী কাফেলার জন্যফজরের জামাতে যারা স্বাগত জানাবে‘শেষ-নবীর উম্মত’ ঈসা মাসীহ আলাইহিস সালাম-কেহয়তো আমি তাদের দেখা পাব!হয়তো আমি তাদের-ই একজন হব!হয়তো তাদের প্রতীক্ষায়-ই এসে যাবে ‘আগামীর ডাক’!
”ফজর আর করব না কাজা বইটি আরবি ভাষা থেকে অনূদিত। বইটির জন্মকথা থেকে শুরু করে ফজরের নামাজ এক ঈমানি পরীক্ষা তার বিবরণ ও তার সময়মতো আদায় কুরআন ও হাদিসের আলোকে বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে।
ফজর নামাজ একটি অনন্য ও বিশেষ নামাজ। সত্যিই একটি অসাধারণ প্রার্থনা! ফজর দশকের ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য, অর্থ ও গুরুত্ব সবই অনন্য ও ভিন্ন। তিনি মানুষের ব্যক্তিত্ব এবং মনের আবেগগত গতিশীলতা ভালভাবে জানতেন, তিনি জানতেন যে ফাজিলের নামাজের সময়গুলি তুলনামূলকভাবে কঠিন হবে। একজন মুসলমান যদি নির্বোধ হয়ে যায় এবং তার প্রবৃত্তির ইচ্ছার অনুসরণ করে, তবে সে আরামে ঘুমাতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে এবং তার অহং ও প্রবৃত্তির ভ্রান্তির কারণে সে ফরজ সালাত ছেড়ে দেবে। এ কারণে মহানবী (সা.) উম্মতকে ফজরের নামাযের সর্বোচ্চ ফজিলত ও গুণাবলী দান করেছেন। সর্বোপরি, এই ব্যতিক্রমী গুণাবলী এবং গুণাবলী মুমিনদেরকে তাদের সমস্ত শক্তি ফজরের জামাতে অংশগ্রহণ করতে এবং পরিস্থিতি ও প্রতিকূলতার মুখে ফজরের জামাতের একটি দিনও মিস না করতে উত্সাহিত করে।
ফজরের নামাজের অনন্য ও ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্যসমূহ হতে দশটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রথম অনন্য বৈশিষ্ট্য : ব্যতিক্রমী ও কল্পনাতীত ফজিলত!
দ্বিতীয় অনন্য বৈশিষ্ট্য : ফজরের নামাজ কাযা হওয়া মানেশুধুই সাওয়াব খোয়ানো নয়!
তৃতীয় অনন্য বৈশিষ্ট্য : সমগ্র দুনিয়া ও দুনিয়ার সবকিছুর চেয়েও মূল্যবান দু’ রাকাত সুন্নাত নামাজ!
চতুর্থ অনন্য বৈশিষ্ট্য : অনুপম স্বাতন্ত্র্য! বিশেষ দোয়া!
পঞ্চম অনন্য বৈশিষ্ট্য : স্মরণীয় ও সবিশেষ সময়!
ষষ্ঠ অনন্য বৈশিষ্ট্য : স্বয়ং আল্লাহর নিরাপত্তা-তত্ত্বাবধান!
সপ্তম অনন্য বৈশিষ্ট্য : ঈমান ও ইলম চর্চার এক সেমিনার!
অষ্টম অনন্য বৈশিষ্ট্য : দৈনিক আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণ কোর্স!
নবম অনন্য বৈশিষ্ট্য : অর্ধেক জীবনের গুনাহ-মোচক!দশম অনন্য বৈশিষ্ট্য : প্রতিটি পদক্ষেপে আসমানি বরকত!
ফজরের নামায এবং ফজরের জামাত সালাফদের কাছে বিশেষ গুরুত্ব ছিল কারণ সালাফ বা তাদের পূর্বসূরিদের বইয়ে ফজরের নামাযের বিশেষ ফজিলত ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ রয়েছে এবং বিশেষ করে ফজরের জামাতের অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে। তারা তাদের জীবনে এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভাল কাজের মূল্য দেখতে পারে।
এই কারণেই তাদের জীবনে ফজরের নামায পড়া হয়নি, এবং একজন মুসলমানও ফজরের নামায পড়তে পারে না - এমন একটি সম্ভাবনা তাদের মনে এসেছিল।
বই সম্পর্কে নিজের মন্তব্য : এই বই শুধু বিস্ময়কর. আমি যা বলেছি তা আমার অনুভূতি এবং বই থেকে একটি উদ্ধৃতি মাত্র। আমি এই ভাষার সুনির্দিষ্ট বানান এবং শৈলী দ্বারা মুগ্ধ।
বইটির বাঁধাই চমৎকার। এই বইয়ের প্রচ্ছদ অন্যান্য বইয়ের তুলনায় মজবুত ও মজবুত। কাগজের মানও ভালো। দশকতা একতা একটি চরম বই। আমি মনে করি এই বইটি সবার পড়া উচিত। বইয়ের শেষে, পাঠকের সুবিধার্থে, বিশেষ করে সকালের নামাজের পরে পড়ার জন্য প্রার্থনা এবং সাজসজ্জার একটি আভাস দেওয়া হয়েছে। সাধারণ পাঠকদের কাজে লাগবে। ইনশাআল্লাহ।